কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে আপনাকে স্বাগতম। অত্র হাসপাতালে বর্হি: বিভাগ (সাধারণ / নন কোভিড ) সকাল ৮:00 ঘটিকা থেকে বেলা ২:৩০ পর্যন্ত চিকিৎসা কার্যক্রম চালু আছে ।    কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারী হাসপাতালের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম    
মেনু নির্বাচন করুন

হাসপাতালের ইতিহাস

কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল বা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত সরকারি হাসপাতাল। কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটির অর্থায়নে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য এটিই প্রথম হাসপাতাল।  

কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ঢাকার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের ঈশা খাঁ সড়কে অবস্থিত। রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ পিছনেই এই হাসপাতালটি অবস্থিত।

২০০১ সালের ১০ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন। ২০০২ সালে কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে এই হাসপাতাল থেকে তাদের অনুদান বন্ধ করে দেয়।

২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালটিকে এক চুক্তির মাধ্যমে আমেরিকান হসপিটাল কনসোর্টিয়ামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিল। চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল ২০০৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে হাসপাতালটিকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নীত করা। কিন্ত আমেরিকান হসপিটাল কনসোর্টিয়াম সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালটিকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হলে লিজ চুক্তি বাতিলের বিষয়টি ঝুলে যায়। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালটি পুনরায় চালু করা হয়। 

২০২০ সালের মে মাসের তথ্য অনুসারে হাসপাতালে ২০০টি শয্যা ব্যবস্থা আছে। ২৮টি আইসিইউ সুবিধা বিশিষ্ট শয্যা আছে। হাসপাতালে ৯৫ জন চিকিৎসক এবং ১১৩ জন নার্স আছে।এই হাসপাতালে তিন জন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক দায়িত্বরত আছেন। এখানে অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিভাগ, কেবিন, ওয়ার্ড, বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগসহ প্রায় ২২টি বিভাগে বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।

 

করোনাকালীন ভূমিকা
বাংলাদেশ সরকার সর্বপ্রথম এই হাসপাতালটিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য নির্ধারণ করে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

Top